পলাশবাড়ীতে শিক্ষা অফিসারের সাথে সম্পর্ক থাকলেই মিলছে বরাদ্দ!
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে শিক্ষা অফিসার এ কে এম আঃ ছালামের সীমাহীন দূর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটির সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা অফিসারের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় একই বিদ্যালয়ে মিলছে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ অথচ যে সব বিদ্যালয়গুলোতে ভৌত অবকাঠামোর অভাব বা মান নিম্নমুখী সেসব বিদ্যালয় বরাদ্দ পাচ্ছেনা।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে শিক্ষা অফিসার এ কে এম আঃ ছালামের সীমাহীন দূর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটির সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা অফিসারের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় একই বিদ্যালয়ে মিলছে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ অথচ যে সব বিদ্যালয়গুলোতে ভৌত অবকাঠামোর অভাব বা মান নিম্নমুখী সেসব বিদ্যালয় বরাদ্দ পাচ্ছেনা।
কিশোরগাড়ী ক্লাষ্টারের উত্তর সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ওই এলাকার আব্দুল কাফি'র করা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে নানা অনিয়ম আর দূর্নীতির চিত্র।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানায়, যে সকল বিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামোর অভাবে বিদ্যালয়ের মান নিম্নমুখী সেসব বিদ্যালয়ে বরাদ্দ না দিলেও শিক্ষা অফিসারের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় একই বিদ্যালয়ে মিলছে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ। আমরা চেষ্টা করেও আমাদের ন্যায্য বরাদ্দটুকু পাইনা।
শিক্ষা অফিসারের এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ও তদন্তকারি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, তালিকায় নাম না থাকলেও কিভাবে রাজস্ব খাতের ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ পেয়েছে তা জানিনা। এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ওই বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি অহিদুজ্জামান অসুস্থ থাকায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, আমি পলাশবাড়ীতে থাকি স্যারের সাথে আমার সম্পর্ক ভালো, স্যারের সাথে আমি সকাল-বিকাল দেখা করি, তাই তালিকায় নাম না থাকলেও অন্য স্কুলের বরাদ্দ কেটে আমাকে দিয়েছে। তবে স্যারকে আমি কোন টাকা পয়সা দেইনি।
এমন বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম আঃ ছালাম জানান, রাজস্ব খাতে দ্বিতীয় দফায় ৪টি প্রতিষ্ঠানে যে বরাদ্দ পাওয়া যায় সুলতান পুর সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়টিও তার মধ্যে পেয়েছে।
উল্লেখ্য, এ কে এম আঃ ছালামের বিরুদ্ধে এর আগে নানা অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ, একাধিক দপ্তরে অভিযোগ,মানববন্ধন ও মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করলেও উদ্ধতন কতৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। পলাশবাড়ীর সচেতন মহলের মাঝে নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা এসব অনিয়মের সমাধান চান।